নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গেলে মসজিদের মাইকে পুলিশকে 'ডাকাত' বলে আখ্যা দিয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পুলিশ মামলা (নং-২০, তাং-১৪-১১-২০২০ ইং) দায়ের করে। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টা ১০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বাদী এএসআই নুরুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ বিল্লাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া আমিনুল ইসলামের বাড়ীতে অবস্থান করছে জানতে পেরে তিনি রাত ১২ টা ১০ মিনিটে স্থানীয় নাইটগার্ড নাসিরকে (৪০) সঙ্গে নিয়ে ঐ বাড়িতে যায়। পরবর্তীতে ওই বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলামকে ডেকে জিজ্ঞেস করি আসামি তার বাড়ীতে অবস্থান করছে কিনা। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা বাড়ির দরজা না খুলে ভিতর থেকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের অশালীন কথা বলতে থাকে বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়। এসময় এএসআই নুরুজ্জামান অন্যান্য পুলিশ সদস্যসহ আসামি যে রুমের ভিতরে অবস্থান করছে সেই রুমে যাওয়ার পর উক্ত বাড়ির মালিক আমিনুল স্থানীয় মসজিদের ফোন করে বলে যে, বাড়িতে ডাকাত এসেছে, মসজিদে মাইকিং করতে হবে। তার কথার ভিত্তিতে মসজিদে মাইকিং করার পর উল্লেখিত আসামি ছাড়াও ৩০/৪০ জন লোক এসে আমাদের পরিহিত পোষাক ধরে টানা হেঁচড়া করে। মামলায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, তাদেরকে লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে জখম করা হয়। পরবর্তীতে এ বাড়িতে আসামি ধরতে আসলে আমাদেরকে খুন করার হুমকি দেয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। তবে ব্যস্ততা দেখিয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কিছু বলতে চায়নি মামলার বাদী এএসআই মো. নুরুজ্জামান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফ বলেন, রাত ১২টার দিকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় গেলে সেখানে পোশাকধারী ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের ডাকাত আখ্যা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় রাতেই আমিনুল ইসলাম (৫৫), মারুফ খান (১৮), সামছুজ্জামান (২৮) ও ওয়াসিমকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল