লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় অধস্তন কর্মকর্তাদের উস্কে দিয়ে বানোয়াট অভিযোগে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস। বিকেল চারটায় চেয়ারম্যানের নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১২ নভেম্বর যে ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে তা বাস্তবতার সাথে সম্পূর্ণ উল্টো, অসত্য ও মনগড়া। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী ব্যক্তির তালিকায় ব্যপক অসংগতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব বিষয়ে ১২নভেম্বরের সমন্বয় সভায় ভিজিডি কার্ড বিতরণ ও তালিকা প্রস্তত করনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়িত্বশীল ও অনিয়ম না করার তাগিদ প্রদান করি। এ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ওই কর্মকর্তা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশোভন আচরণের চেষ্টা করলে আমি সম্মানরক্ষার্থে সভাস্থল ছেড়ে নিজ কক্ষে চলে আসি। আসার সময় করিডোরের সিসিটিভির সংযোগটি বিচ্ছিন্ন দেখতে পেয়ে আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে সেটি পরীক্ষার জন্য বলি। এসময় সেখানে ইউএনও উপস্থিত হয়ে আমার সহকারী হুমাযুন এর সাথে অশালীন আচরণ করে মারপিট করতে তেড়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান দাবি করে বলেন ইউএনও’র সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও উৎকোচ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় প্রতিশোধ নিতেই তিনি পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। এছাড়াও তিনি সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি তথ্য তুলে ধরেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন।
এদিকে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে উপজেলার সতেরো কর্মকর্তাগণের সাথে অসদাচারণ, দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকী প্রদানের বিষয়ে রবিবার (১৫ নভেম্বর) তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান তার নিজের কৃতকর্ম ঢাকতে এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল