‘দেখ বাবারা, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এদেশটা স্বাধীন করতে গিয়ে রক্ত দিয়েছি। আমাদের মারবা না’, এভাবেই অনুনয় করে ডাকাতদের বলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মিয়া। কিন্তু পাষাণ হৃদয়ের ডাকাত দল এসব কথায় কান দেয়নি।
দা-লাঠি দিয়ে আঘাতের পর আঘাতে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার দেহ ক্ষত-বিক্ষত করেছে। সঙ্গে তার ছেলে ও পুত্রবধূকে কুপিয়ে জখম করে। ছেলের জখমে অসংখ্য সেলাই আর পুত্রবধূর কবজির রগ কেটে দিয়েছে ডাকাতরা।
শনিবার গভীর রাতে ডাকাতির এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে নরসিংদির শিবপুর উপজেলার ভংগারটেক গ্রামে। প্রায় তিন লাখ টাকা ও আট লাখের অধিক টাকার স্বর্ণালংকার ডাকাতরা নিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগী দাবি করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলেন, ‘আমি ডাকাতদের বলেছিলাম, তোমরা সব নিয়ে যাও। কিন্তু আমার ছেলে-মেয়েদের মেরো না। ওরা আমাকেও জবাই করতে চেয়েছিল।’
স্থানীয় লোকজন বলছেন, এলাকায় ঘন ঘন ডাকাতি হচ্ছে। গত কয়েক মাসে শিবপুর উপজেলায় ডাকাতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। ওরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুরো এলাকায় ডাকাতি করে। একে অপরের সহায়তায় এগিয়ে যাওয়া যায় না।
স্থানীয় লোকজন ডাকাতদলের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই