উপজেলা প্রশাসনের সিসি ক্যামেরার সংযোগ খুলে ফেলায় বাঁধা দেয়ায় আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জিডি করা হয়েছে। আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের সরকারি নথিপত্র হারিয়ে যাওয়া এবং রাজস্ব তহবিলের উনিশটি চেক বহির পাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে আরও একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। আদিতমারী থানায় পৃথক দু’টি ডায়েরী রবিবার সন্ধ্যায় নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আদিতমারী থানায় ৫৫৮ নং ডায়েরীটি করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। অন্যদিকে আদিতমারী থানায় ৫৫৯ নং ডায়েরীটি করেন উপজেলা পরিষদের মুদ্রক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর হাবিবুর রহমান।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম দু’টি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) হবার কথা স্বীকার করে বলেন, দু’টি জিডি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস এর সাথে যোগাযো করা হলে তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসাতেই নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সে কারণেই জিডি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। চেকগুলোতে তার (চেয়ারম্যান) কোন স্বাক্ষর ছিল না বলে দাবি করে তিনি আরো বলেন, এই অভিযোগ অন্যদের সাথে নিয়ে রবিবার (আজ) করেছেন।
এদিকে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলার ১৭ কর্মকর্তার দেয়া অভিযোগের তদন্ত রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। লালমনিরহাট স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোঃ রফিকুল ইসলাম সকলের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই তদন্ত কার্যক্রম চলে। এসময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। কমিটি আগামী মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল