কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবির পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস আত্মত্যাগের ইতিহাস। আর বিএনপির ইতিহাস অত্যাচার-নির্যাতনের ইতিহাস। তরুণ প্রজন্ম বিএনপির অত্যাচার আর নির্যাতনের ইতিহাস জানতে পারলে তাদের কেউ বিএনপির রাজনীতি করবে না।’
বুধবার সন্ধ্যার পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ টিটু বলেন, ‘বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু একসূত্রে গাঁথা। জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহযোগী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের আড়ালে কলকাঠি নেড়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।’
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ‘৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর তার পিতা সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামের ওপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘সে সময় ক্যান্টনমেন্টের ভেতর তার পিতাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে এমন নির্যাতন করা হয়েছিল, যে কারণে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় তাকে সাজানো বিচারে পাঁচ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল।’
কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন মুখলেছ, বৌলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির। সভা শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ