পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭নং সরিষামুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ইমাম হাসান শিপনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। চেয়ারম্যান শিপনের শ্যালক উজ্জ্বল জানায়, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফের নেতৃত্ব হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয়েছে। এ সময় বেতাগী থানার এস.আই. আলাউদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের প্রতিহত করেননি বলে অভিযোগ করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয়রা জানান, সরিষামুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেতাগী উপজেলা আওয়ামীলিগ নেতা ইউসুফ শরীফের সাথে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা নেতৃবৃন্দের উস্থিতিতে শিপনের নেতৃত্বে ইউসুফ শরীফের উপর হামলা করে জখম করা হয়। নেতৃবৃন্দ এ বিষয় কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় পরবর্তীতে বেতাগীতে একটি সভায় ইউসুফ শরীফকে লাঞ্ছিত করে শিপন। এই ঘটনার জের ধরে আজ এই হামলা হয়েছে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বেলা ৩টার দিকে ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী গ্রামের পনু মিয়ার বাড়ি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে রাস্তায় কালিকাবাড়ী মন্দিরের কাছে আসার পরে ৭/৮ জন রামদা-ছেনা নিয়ে শিপনের উপর হামলা করে। কুপিয়ে রাস্তার উপর ফেলে মৃত ভেবে হামলাকারীরা বিনাবাধায় চলে যায়।
স্থানীয়রা বরগুনা জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল পাঠানো হয়। হাসাপাতালের সূত্র থেকে জানা গেছে, হামলায় শিপনের দু'পায়ের রগ ও ডান হাতের রগ কেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এই ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সময় থানার একজন এস.আইসহ পুলিশকে উপস্থিতির বিষয় তিনি বলেন, অন্য একটি মামলার দায়িত্ব পালনে সরিষামুড়ী এলাকায় তিনি গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় নয় ঘটনার পরপরই কাকতালীয় ভাবে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল