নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গোপনে বাল্যবিয়ে দেয়ায় বর, বরের বাবা, এমনকি মেয়ের বাবাকেও পৃথকভাবে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। সেই সাথে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দিনভর ও রাতে বাল্যবিয়ে রোধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু রাসেল।
জানা যায়, নাজিরপুর ইউনিয়নের পুরুলিয়া গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুল শেখের (১৮) সাথে পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সীমা খাতুনের সাথে বিয়ে দেয়ায় ছেলের বাবা তফিজ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। একই দিনে খুবজীপুর ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের আলামত মন্ডলের পুত্র শহিদুল ইসলামের সাথে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আনিকা খাতুনের বিয়ে দেয়া হয়। বাল্যবিয়ের প্রমাণ পাওয়ায় বর শহিদুলকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে, ধারাবারিষার চলনালী গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে রুপালী খাতুনের (১৭) সাথে পাশের সিধুলী গ্রামের পিয়ারুল ইসলামের ছেলে মোরশেদ আলীর সাথে বাল্যবিয়ে হলে মেয়ের বাবা লুৎফরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সবশেষে ওইদিন রাতেই গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় পুড়ানপাড়া মহল্লার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আসাদ সোনারের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া আক্তার ফাতেমাকে বড়াইগ্রামের শাহজাহান খানের পুত্র আরিফুল ইসলামের সাথে বাল্যবিয়ে দেয়ার সময় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই চারটি পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত পিতামাতার বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ