২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:০১
সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে নয়

শিক্ষার্থীদের নিয়ে ডিসির সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ অভিভাবকদের

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

শিক্ষার্থীদের নিয়ে ডিসির সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ অভিভাবকদের

সন্ধ্যার পর কোনো ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন অভিভাবক মহল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মাদারীপুরের ডিসি রহিমা খাতুন বলেন, করোনা সংক্রমনরোধে সন্ধ্যা ৭ টার পর অভিভাবক ছাড়া কোন শিক্ষার্থী বাইরে বের হতে পারবে না। এছাড়া চায়ের দোকানগুলোতে কোন টিভি থাকবে না। 

এদিকে জেলা প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবক। এমনকি জেলা প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করে প্রতিটা পরিবার থেকে জেলা প্রশাসনকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সহায়তা করার আহব্বান জানান অভিভাবকরা। 

মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, দেশব্যাপী কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে কিশোর অপরাধ বেড়ে চলেছে। উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীরা মাদকের ভয়ঙ্কর ছোবলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি অবৈধভাবে যৌন কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এসকল কিছু বন্ধ করতে হবে। বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমাদের উচিত কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পারিবারিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতা করা।

শিবচরের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান নামের আরেক অভিভাবক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েরা বন্ধুদের সাথে আড্ডার নামে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তারা জুয়া, মাদকসহ অনৈতিক কাজের প্রতি এমনভাবে ঝুকে পড়ছে যা মারাত্মাক আকার ধারণ করতে পারে। এসমস্ত কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অধিক রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকায় অনেক শিক্ষার্থী মাদকের প্রতি ঝুঁকছে। দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে জুয়া খেলাসহ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত হচ্ছে তারা। এসব পারিবারিকভাবে ছেলেমেয়েদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে প্রশাসনকেও সাহায্য করা উচিত। আর না হয় দেশ ও সমাজ চরম ক্ষতির শিকার হবে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, যুব সমাজকে রক্ষা করতে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সর্বাত্মক কাজ করবে। পাশাপাশি প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সচেতন হতে হবে পরিবারের সকলকে। তাদের ছেলেমেয়েরা এত রাত পর্যন্ত বাহিরে বের হয় কেন? কি করে? কোথায় যায়? এসব বিষয় নজর রাখতে হবে। সন্তান একবার মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তাকে কিন্তু আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর