নরসিংদীর মনোহরদীতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে ৫ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মনোহরদী থানায় নির্যাতিত ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে শাওন মিয়াসহ (২৫) তার চার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শাওন মিয়া মনোহরদী উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। অন্য আসামিরা হলো মো. আশিক (২৩), মো. মোবারক হোসেন (২২), মো. সুমন (২২) ও মোবারক হোসেন (২২)।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রীর সাথে অভিযুক্ত শাওন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে ওই ছাত্রীকে দুটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দুইজনের বিয়ে হয়ে গেছে বলে জানিয়ে বিষয়টি তিনমাস গোপন রাখতে বলে প্রেমিক শাওন। স¤প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ের কাগজপত্র চাইলে তালবাহানা করতে থাকে শাওন। পরে ৩ ডিসেম্বর শাওন উপজেলার বগাদীর একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
পার্কে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার পর তাকে শাওন ও তার চার সহযোগীরা অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে স্কুলছাত্রীকে টানা ৫ দিন আটকে রেখে শাওন ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে গত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে চালাকচর বাজারের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন