ধাক্কা-ধাক্কি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১৪৬টি কেন্দ্রে এক যোগে শুরু হয়ে বিকাল ৫টায় শেষ হয় এ ভোট গ্রহণ।
দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি ছিল একদম কম। বিশেষ করে নারী বুথগুলোতে উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেকটা অলস দিন কাটাতে দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক সমর্থিতদের আনাগোন ছিল চোখে পড়ার মতো। দু-একটি কেন্দ্রের ভিতরে নৌকা প্রতীক সমর্থিতরা উৎসব মুখর পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা গেছে।
দুপুরের দিকে জমিদারহাট বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও সেতুভাঙা এলাকার একটি কেন্দ্রের সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। এ ছাড়া নরোত্তমপুর ও আলীপুরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নরোত্তমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ খোকনসহ দুইজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন নৌকা সমর্থকরা।
বিএনপির মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুরুল আজিম সুমন অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের লোকজন মারধর করে তার এজেন্টদের বের করে দেয়। অনেক স্থানে ব্যালট ছিনিয়ে নেয় তারা। ফলে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়নি।
তবে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহনাজ বেগম জানান, তার লোকজন কোথাও কোনো সমস্যা করেনি। বরং বিএনপি প্রার্থীর লোকজন হামলা চালিয়ে নরোত্তমপুরে খোকন ও আলীপুরে টিপুসহ ৫জনকে পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া দিনভর ভোটার উপস্থিতি কম এর মধ্য দিয়ে অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বাদশা মৃত্যুবরণ করায় শূণ্যপদে এ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে চারজন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল