বছরের প্রথম দিন। ঘুরতে বের হয়েছিলেন চার বোন। প্রাইভেটকারে করে ঢাকা থেকে তাদের যাত্রা ছিল নরসিংদীর পথ ধরে। কিন্তু ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল আপন তিন বোনের প্রাণ। সঙ্গে মারা গেছেন আরও একজন। আহত হয়েছেন তাদের আরেক বোন।
মর্মান্তিক এ ঘটনা নরসিংদীর বেলাবোতে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষের। শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে ঘটা এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় রাতে জানা গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী ও ভৈরবের সিমান্তবর্তী দরিকান্দিতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ঢাকা বেইজিং ডাইং অ্যান্ড উইভিং ইন্ডাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজার নোয়াব আলী (৫৪), নরসিংদীর পালাশ উপজেলার চলনা গ্রামের খায়রুন্নাহার (৩৫) তার ছোট বোন তিষা (২২) ও কামনা (২৪)। এতে আহত হন তাদের আরেক বোন। তার লুনা বেগম (৩৭)। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই চার বোনের সাথে নোয়াব আলীর পারিবারিক কোনো সম্পর্ক ছিল কি না, তা জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি বাস নরসিংদীর বেলাবোর দড়িয়াকান্দি স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ঢাকাগামী প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি ধুমড়ে মুচড়ে বাসের নিচে চলে যায়। তখন ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চারযাত্রী নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ, তিনজন নারী রয়েছেন। একজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী কাজল মিয়া জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ। তাকিয়েই দেখি একটা প্রাইভেটকার একটি বাসের নিচে ঢুকে যাচ্ছে। প্রথমে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলাম। বাসটি প্রাইভেটকারটিকে নিচে ফেলে রাস্তায় ঘষতে ঘষতে অনেক দূর নিয়ে যায়। পরে এগিয়ে গিয়ে দেখি চারজন মারা গেছেন। আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, যাত্রিবাহী বাসটি প্রাইভেটকারের ওপর উঠে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুইটি গাড়িরই প্রচণ্ড গতিবেগ ছিল। তাই সংঘর্ষের সাথে সাথে প্রাইভেটকারটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। ফলে প্রাইভেটকারটিতে থাকা চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ