নড়াইলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ইলেকট্রিক ট্রেডে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ‘কৃষিশিক্ষায়’ অকৃতকার্য হয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
জেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার শিক্ষার্থী মো. রোমান মোল্যার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে।
বিদ্যালয় ও ওই শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, রোমান মোল্যা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখায় ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হলেও ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে ফেল করেন। পরের বছর, ২০২৪ সালে ওই বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সেবারও পাস করতে পারেনি। এরপর চলতি বছর রোমান আবারও ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে পরীক্ষা দেন। এবার তিনি ওই বিষয়ে এ মাইনাস পেয়েছেন।
কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে অন্য জায়গায়। ফলাফলের তালিকায় দেখা গেছে, তিনি কৃষিশিক্ষা বিষয়ে ফেল করেছেন। অথচ আগের দু‘বারের ফলে ওই বিষয়ে তিনি পাস করেছিলেন। এই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যেও বোর্ড রোমানের সামগ্রিক ফলাফল ‘পাস’ হিসেবে দেখিয়েছে যেখানে তার জিপিএ দেখানো হয়েছে ৪ দশমিক ১৪।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী মো. রোমান মোল্যা বলেন, ‘আমি ২০২৫ সালে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়টিতে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করি এবং টাকা জমা দিয়েছিলাম। আমি শুধু ওই বিষয়টিতে পরীক্ষাও দিয়েছি। বোর্ডের প্রকাশিত ফলে আমি ওই বিষয়ে এ মাইনাস (অ-) গ্রেড পেয়েছি। কিন্তু পূর্বে পাশ করা কৃষিশিক্ষায় আমাকে ফেল দেখানো হচ্ছে। আমি তো কৃষিশিক্ষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করিনি। বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে চাপে আছি, স্যারদের সাথে যোগাযোগ করছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট তথ্য পাইনি।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মুরাদুজ্জামান বলেন, ফলাফলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। তবে ধারণা করছি, এটা দায়িত্বরত ব্যক্তির টাইপিং মিসটেক হতে পারে। শিক্ষার্থীর ফলাফলের বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করছি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল