কুমিল্লায় আয়েশা আক্তার নামে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে স্বামী আবদুল কাদেরকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত কাদের জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার আয়েশা একই উপজেলার রাজামেহার গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
বুধবার দুপুরে ওই রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান। তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদের। তিনি পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন। এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন টিপু।
সূত্রে জানা গেছে, আবদুল কাদেরের সঙ্গে ২০০৫ সালের দিকে বিয়ে হয় আয়েশা আক্তারের। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২০১০ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে আয়েশা নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন। ২০১৩ সালের এক ঈদে বাবার বাড়িতে আসেন তিনি। পরে তার মা মাজেদা বেগমসহ নানার বাড়ি একই উপজেলার গুনাইঘর গ্রামে বেড়াতে যায় তারা। সেখানে থেকে ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট তারা নিজ বাড়িতে ফেরেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে মা-মেয়ে জেলার মুরাদনগর উপজেলার ওরিশ্বর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে আবদুল কাদের ছুরি নিয়ে হামলা করে আয়েশার উপর। এ সময় মা মাজেদা বেগম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে কাদেরকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় আয়েশার। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের বাবা আবুল হোসেন মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি কাদেরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘ সময়ের মধ্যে মামলার ১৩ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ