২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:২৩

গলাচিপায় বদনাতলী-চরকাজল ফেরি চালু হয়ে পুনরায় বন্ধ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

গলাচিপায় বদনাতলী-চরকাজল ফেরি চালু হয়ে পুনরায় বন্ধ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরকাজল, চরবিশ্বাস ও চরমোন্তাজ ইউনিয়ন সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে চালু হয়েছিল বদনাতলী-চরকাজল ফেরি সার্ভিস। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা বন্ধ হয়ে আছে।

ওই সময়ের স্থানীয় সাংসদ সদ্য প্রয়াত আখম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রচেষ্টায় বুড়া গৌরঙ্গ নদীতে ফেরি চালু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতে ফেরি সার্ভিসটি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়।

এই ফেরি সার্ভিস চালু হলে ভোলা জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। ফলে গলাচিপাসহ পটুয়াখালী জেলার প্রচুর গার্মেন্টস কর্মী ও শ্রমজীবী মানুষকে ঢাকা অথবা চাঁদপুর হয়ে সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে চট্টগ্রাম যেতে হবে না। খুব অল্প খরচেই কম সময়ে তারা চট্টগ্রামে যেতে পারবেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

বদনাতলী খোয়াঘাটের টোল আদায়কারী মো. মনছুর বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফনির আঘাতে ফেরির পল্টুনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিন মাস আগে কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। ওই সময় তারা বলে, মেরামতের কাজ করে পুনরায় নিয়ে আসা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পল্টুনটি আসেনি।

চর বিশ্বাস ইউনিয়নের চর আগস্তি গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী সায়েম গাজী বলেন, ফেরিটি বন্ধ হওয়ার কারণে আমরা চরম অসুবিধায় পড়েছি। বিশেষ করে মাছ, তরমুজ, ধান বাজারজাত করার জন্য ফেরিটির বিকল্প ছিল না। সরকার যেন সদয় হয়ে আমাদের ফেরিটি চালু করে দেয়।

চরবিশ্বাসের ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সি জানান, চরকাজল ও চরবিশ্বাস ইউনিয়ন ২৫টি চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত। এ দুই ইউনিয়নের ধান, তরমুজ ও রবিশস্য উৎপাদনে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। গত অর্ধশতাব্দী যাবৎ এ এলাকার মানুষের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে নৌপথের ওপর।

এতে কৃষকরা উৎপাদিত মালামালের ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ফেরি সার্ভিস পনুরায় চালু হলে সড়ক পথে কৃষক বা ব্যবসায়ীরা ধান, তরমুজ ও অন্যান্য ফসল সড়ক পথে দেশের যেকোনো জায়গায় পরিবহন করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে বলেও জানান তিনি। 

চর কাজল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা জানান, ফেরিটি চালু হলে আমার এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পেত। চিকিৎসার জন্য বুড়াগৌরঙ্গ নদী পার হয়ে ট্রলার যোগে অসুস্থ মা-বোনদের গলাচিপা ও পটুয়াখালী হাসপাতালে যেতে হয়। এতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। ফেরিটি চালু করা এখন সময়ের দাবি।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অচিরেই এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর