বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগীতা করায় মালেকা বেগম নামে এক নারীকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি কথিত কবিরাজ বাচ্চু বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের বিচারক আবু শামীম আজাদ রবিবার বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মালেকা বেগম ওই উপজেলার দক্ষিণ কাজীরচর এলাকার কালাম মৃধার স্ত্রী।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানায়, ২০১৩ সালের ১৯ জুন বিকেলে মালেকা বেগমের সহায়তায় কথিত কবিরাজ বাচ্চু ওই শিশুকে স্পীডবোট যোগে অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২২ জুন মেহেন্দীগঞ্জ থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই শিশুর বাবা ফারুক মোল্লা। থানার এসআই তারিকুজ্জামান বাচ্চু ও মালেকাকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার বিচার কার্যক্রম চলার সময় প্রধান আসামির মৃত্যু হয়। পরে ট্রাইব্যুনালে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ধর্ষনে সহায়তার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে উপরোক্ত দন্ডাদেশ দেয়া হয়। প্রধান আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়। দন্ড ঘোষণার পরপরই মালেকাকে বিশেষ ব্যবস্থায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার