২০০৮ সালে অমল সরকার নামের এক যুবক জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে আঙুলের ছাপ দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। হাত-পায়ের তালুতে কোথাও রেখা না থাকায়, আঙুলের ছাপ না থাকায় তার এনআইডি লাল কালিতে লেখা হয়।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় হাত-পায়ের রেখাবিহীন পরিবারটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি বিরল রোগ 'অ্যাডারমেটোগ্লাইফিয়া'। নিশ্চিত হওয়ার জন্য 'জেনেটিক মাইক্রো অ্যারি টেস্ট' প্রয়োজন। এ টেস্টটি করা আমাদের দেশে সম্ভব নয়। তাই পরিবারটিকে বিদেশে পাঠানো জরুরি।
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর এই পরিবারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সমস্যা চিহ্নিত করে কেস স্টাডি করে, সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে প্রতিবেদন পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হয়ে কাজটি শুরু করেন। এক মাস তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে, সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করে তা জেলা সিভিল সার্জনের কাছে পাঠান।
চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসের মতে, 'মানব শরীরে স্মারকার্ড ওয়ান জিনের মিউটেশন এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী। দেশে এ ধরনের রোগে আরও কেউ আক্রান্ত থাকলে, তাদের নিয়েও কাজ করতে চাই।'
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির