ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাকা গ্রামে অনুষ্ঠিত এক শালিসে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরান হোসেন (২২) নামে ওই যুবক মারা যান। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ১নং আসামি একই গ্রামের কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার পাকা গ্রামের এক শিশু অপহরণ নিয়ে ওই গ্রামের লোকজন শালিস বৈঠকে বসে। একপর্যায়ে শালিসে বসা লোকজন ঘোড়শাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা খান সিদ্দিকুর রহমান গ্রুপ ও চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গ্রাম্য সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালীন চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজনের লাঠির আঘাতে সিদ্দিকুর গ্রুপের ইমরান গুরুতর আহত হয়।
প্রথমে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় আগেই ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহত ইমরানের দাদা হাফিজুর রহমান।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান নিহতের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, আসামিদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর