পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে হাজারো পর্যটকের ভিড় জমেছে। গত দুদিন ধরে পর্যটকের পদভারে মুখরিত দীর্ঘ বেলাভূমি। হোটেল, মোটেল, কটেজগুলোতে নেই কোনো ফাঁকা রুম। ভ্রমণবিলাসী পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে খাবার ও আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার বসন্তবরণ আর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেটকার, বাস ও মোটরসাইকেলযোগে এসব পর্যটক এসেছে। এদিকে পর্যটকদের নিরাপাত্তায় কুয়াকাটার পর্যটন স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, মহিপুর থানা পুলিশের টহল জোরদার কারা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈকতে হই-হুল্লোড় আর সমুদ্রে গোসলসহ নানা উপায়ে আনন্দ করছেন পর্যটকরা। পর্যটন স্পট শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, মিস্ত্রীপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহার, জাতীয় উদ্যান, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী, রাখাইন মার্কেট, রাখাইন পল্লী, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর, লাল কাকড়ার চর, চর-বিজয়, ইলিশ পার্কসহ দর্শনীয় স্থানে রয়েছে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতি। ফলে পর্যটনমুখী ক্ষদ্র ব্যবসায়ীদের মুখেও ফুটে উঠেছে হাসি।
সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, গত দুদিন ধরে এখানে অনেক পর্যটক এসেছে। তাই এখন বেচা বিক্রিও বেড়ে গেছে। এমন দৃশ্য দেখে মনে হয় পর্যটকদের মেলা বসেছে।
পর্যটক নাজমুল হাসান জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি এখানে এসেছি। সপরিবারে ভালোবাসা দিসবটি এখানেই কাটালাম। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মতো দৃশ্য উপভোগসহ বিভিন্ন স্পটে ঘুরে দেখছি। খুব ভালো লাগছে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন আনু জানান, কয়েক দিন ধরে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমরাও পর্যটকদের সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্ট করে যাচ্ছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোতালেব শরীফ জানান, গত ১৫ দিন আগেই সব হোটেল রুম বুকিং হয়ে গেছে। ফাগুনকে বরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এসব পর্যটক এখানে এসেছে। এ অবস্থা ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ তাদের সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের পুরো টিম কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই