প্রেমের সম্পর্কের সুযোগে নগ্ন ভিডিও করার পর সেই ভিডিও দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ায় প্রেমিককে ডেকে এনে হত্যা করার অভিযোগে লাভলী খাতুন নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ ঢাকা ধামরাই এলাকা থেকে তাকে আটক করেন।
আটক লাভলী খাতুন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার রসুলপুর গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। পেশা একজন নার্স। হত্যাকাণ্ডের শিকার রুবেল রানা (২৮) টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানার শ্যামশৈল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জ সদর থানার ইকোপার্কে একটি লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও আলামত সংগ্রহ করেন। এরপর অজ্ঞাতনামা হিসেবে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় জিডি দায়ের করে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। সন্ধ্যার পর লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। ওইদিন রাতেই নিহত রুবেল রানার বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে সিআইডির একটি তদন্ত টিম মাঠে নামে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৬ ফেব্রুয়ারী রাতে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মোহাইমিনুলের নেতৃত্বে ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে লাভলীকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাভলী হত্যা কথা স্বীকার করে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
পরিদর্শক আরো জানান, অ্যানেসথেসিয়ার অতিরিক্ত ডোজের কারনে রুবেল মারা যায়। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে লাভলী খাতুনকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে রুবেলের একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার