আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হারাগাছ পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর (সদ্য বহিস্কৃত) ইস্যু হতে পারে। আবার আওয়ামী লীগের বিভক্তির সুবিধা পেতে পারেন বিএনপি প্রার্থী।
কেউ কেউ বলছেন আওয়ামী লীগের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নির্বাচনকে ঘিরে এমনই বিশ্লেষন চলছে। এইবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র হাকিবুর রহমান (নৌকা প্রতীক), বিএনপির প্রার্থী মোনায়েম হোসেন ফারুক (ধানের শীষ প্রতীক), স্বতন্ত্রভাবে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদুল হক (নারিকেল গাছ প্রতীক) এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী জাহিদ হোসেন (পাখা প্রতীক) মেয়র পদে নির্বাচন করছেন।
আ’লীগ, বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি প্রচারণায় পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত মহিলা এবং সাধারণ কাউন্সিলারগণ। তাদের প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো পৌর এলাকা। প্রাার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের এখন দম ফেলার ফুসরত নেই। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এবং নির্বচিত হতে পারলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস প্রদান করছেন। ভোটে জয়ের বিষয়ে ৩ প্রার্থী আশাবাদি।
সাধারণ ভোটারদেরে সাথে কথা হলে তারা জানান, 'মেয়র প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি ফুলঝুরি ছুড়ছেন। নির্বাচিত হলে উন্নয়নসহ নানান আশ্বাস দিচ্ছেন। নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে ভোটারদের কাছে তারা ঘুরছেন।'
বর্তমান মেয়র হাকিবুর রহমান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। হারাগাছে নৌকার বিজয় হলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।'
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোনায়েম হোসেন ফারুক বলেন, 'আমি মেয়র হলে হারাগাছ পৌরসভাকে দুর্গন্ধমুক্ত, পরিবেশ বান্ধব এবং শহর জুড়ে প্রযুক্তি সেবা প্রদান করবো।'
অন্যদিকে, আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) এরশাদুল হক বলেন, 'আমি বিদ্রোহী প্রার্থী নই। দীর্ঘ দিন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। যদি মেয়র হই তাহলে হারাগাছ পৌরসভাকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো এবং শহরের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করবো।'
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার ২০টি কেন্দ্রের ১৬১টি বুথে ৪৯ হাজার ১৭ জন ভোটার ইভিএম-এর মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির