বরগুনার তালতলী উপজেলায় বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। আজ উপজেলা পরিষদ চত্বরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
উপজেলার ৭০ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য প্রায় ২৩ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অংশের বেতন ভাতা পাচ্ছে না। যা তাদের বেতনের অর্ধেক।
নিয়মিত কাজ করেও বেতন-ভাতা না পেয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তরে স্বপরিবারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
সকাল দশটা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী গ্রাম পুলিশ পরিবারের সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব মনে করে তাদের পরিবারের প্রধানরা করোনায় ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন, সরকার বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের এক্ষেত্রে প্রণোদনাতো দেয়ইনি এমন কি তাদের প্রাপ্য বেতনভাতাও বকেয়া রেখেছে! কি ভাবে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিবারের ভরণপোষণ চালাচ্ছে তার খোঁজ কেউ নিচ্ছেন না বলে তারা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে মোট ৭০ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে সাতজন দফাদার ও ৬৩ জন মহল্লাদার।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী দফাদারা প্রতি মাসে ৭০০০ টাকা ও মহলাদাররা ৬৫০০ টাকা করে বেতন পেয়ে থাকেন।
মোট বেতনের অর্ধেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২৩ মাস ধরে ইউপি অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না তারা। এছাড়াও গ্রাম পুলিশদের প্রতি মাসে ১ হাজার দুইশত টাকা হাজিরা ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও ২৩ মাস ধরে তারা পাচ্ছেন না হাজিরা ভাতা।
উপজেলার গ্রাম পুলিশ সভাপতি গাজী মো. চান মিয়া জানান, দীর্ঘ ২৩ মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছিনা, মহামারী করোনাভাইরাস এর মধ্যে দিনরাত নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। বকেয়া বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান ১০ দিনের সময় চেয়েছেন। ১০ দিনের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, শিগগিরই তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল