৮ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫০

অভিনব কায়দায় পায়ুপথে ইয়াবা পাচার, নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার ১

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

অভিনব কায়দায় পায়ুপথে ইয়াবা পাচার, নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার ১

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বাস থেকে রমজান শেখ নামক এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এর একটি টিম। পরবর্তীতে রমজান শেখ’কে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভিতর হতে ১০৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় পেটের ভিতর ইয়াবা ঢুকিয়ে টেকনাফ থেকে বাসযোগে ঢাকায় এনে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবার চালান পৌঁছে দিয়ে আসছে। 

গ্রেফতারকৃত আসামি রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানাধীন আন্দারমানিক গ্রামের মোঃ আলম শেখের ছেলে।

গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৭ মার্চ র‌্যাব-১১ এ অভিযান চালালেও ৮ মার্চ বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-১১।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপনসূত্রে র‌্যাব-১১ জানতে পারে যে, রাজবাড়ীর একজন ইয়াবা পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে বাসযোগে ইয়াবা পাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ মার্চ উক্ত ইয়াবা পাচারকারী একই কৌশলে টেকনাফ হতে বাসযোগে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুরস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত রাফি ফিলিং স্টেশন এর সামনে পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট স্থাপন করে। চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশীকালে টেকনাফ থেকে ঢাকাগামী একটি বাস থেকে রমজান শেখকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা এবং অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে সে অস্বীকার করে। অতঃপর গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তার পেটের ভিতর ইয়াবা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আলিফ ডক্টরস চেম্বার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্স-রে করে দেখা যায় তার পেটের ভিতর অসংখ্য বস্তু বিশেষ রয়েছে। উক্ত ঘটনার সত্যতা অধিকতর যাচাইয়ের নিমিত্তে নারায়ণগঞ্জের সদর মডেল থানাধীন জেনারেল হাসপাতাল ভিক্টোরিয়া এর অবজারভেশন ওয়ার্ডের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত রমজান শেখ স্বীকার করে যে তার পেটের ভিতর কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ২১টি ইয়াবার পোটলা রয়েছে যার প্রত্যেকটিতে ৫০ পিস করে মোট ১০৫০ পিস ইয়াবা রয়েছে। সে আরও স্বীকার করে যে, টেকনাফে এই ইয়াবার প্যাকেটগুলো খাবারের সাথে গিলে খায় এবং কলা এবং পাউরুটি খেয়ে সেই প্যাকেটগুলো পায়ু পথ দিয়ে বের করে। অতঃপর তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তারের চিকিৎসা প্রদানের পর হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে তার পায়ু পথ দিয়ে কালো টেপ দ্বারা মোড়ানো ছোট ছোট ২১টি প্যাকেট বের করে দেয়। 

গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত এবং এভাবে অভিনব কৌশলে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর