বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তাকবীর ইসলাম খান বগুড়া শহরের মালতীনগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাকবীরের মা আফরোজা ইসলামের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুল সংলগ্ন সাতমাথায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। এঘটনার একদিন পর ১৪ মার্চ শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলার ধুনটে উপজেলা ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য রওনা হন। পথিমধ্যে জেলা ছাত্রলীগের তাকবীর ইসলাম খানের মোটর সাইকেলের সাথে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রউফের এক কর্মীর মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় বিষয়টি সমাধান করে দেন।
ধুনট সমাবেশ শেষে সাতমাথায় জিলা স্কুল সংলগ্ন বিলবোর্ড এলাকায় মোটর সাইকেলে ধাক্কার ঘটনায় তাকবীর ইসলাম খান ও আব্দুর রউফের কর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়ের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান ছুরিকাঘাতে আহত হন। এসময় তার কর্মী শান্ত, ইমন, শাফিন, হাবিব আহত হোন। অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ পক্ষের ছাত্রলীগের কর্মী দুলাল, জাহিদ হাসান, সানজিদ, রাজন আহত হয়।
এদিকে মামলার ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর