বাল্যবিবাহ রোধে সিরাজগঞ্জ প্রশাসন প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করছেন। গভীর রাত হোক আর দুপুর হোক, বাল্য বিয়ের সংবাদ জানার পরই প্রশাসন ছুটে যাচ্ছেন। বিয়ে বন্ধ করছেন, জরিমানা করছেন, বর-কনে অভিভাবকদের সচেতন হবার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর কাজীদেরও প্রতিনিয়ত বাল্যবিয়ে না পড়ানোর জন্য সতর্ক করে দিচ্ছেন।
এতো কিছুর পরও সরকারী নির্দেশনা থোড়াই কেয়ার করছেন না কাজীরা। গোপনে বাল্যবিয়ে পড়িয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি কামারখন্দর উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের কাজী মোজাম্মেল হক শুধু গোপনে বাল্যবিয়েই নয়, কনের বাবার স্বাক্ষর জাল করে কাবিননামা (নিবন্ধন) করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হবার পর কনের বাবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কনের বাবা চরকামারখন্দ গ্রামের শহিদুল ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেন, কয়েকদিন আগে আমি জানতে পারি আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শিখার সাথে নাসির উদ্দিন নামে কিশোরের বিয়ে হয়েছে। এমনকি বিয়ের নিবন্ধনও হয়েছে। আমি তৎক্ষনাত কাজি অফিসে গিয়ে নিববন্ধন বই দেখি। নিবন্ধনে বিয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। এমনকি আমার স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে।
এ বিষয় জামতৈল ইউনিয়নের কাজী মোজাম্মেল হক জানান, আমি বিয়েটি পড়েছি বা নিবন্ধন করেছি কিনা আমার মনে পড়ছে না।
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা জানান, বাল্যবিবাহ পড়ানো এবং জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে নিবন্ধনের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুই পক্ষকেই শুনানির জন্য ডাকা হবে। সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত