বরিশালের আগৈলঝাড়ার উপজেলার গৈলা বাজারে মুঠোফোন চুরির অভিযোগে এক শিশুকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। শিশু সজীব (১১) ওই গৈলা ইউনিয়নের উত্তর সিহিপাশা গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক লাল মিয়া সরদারের ছেলে।
নির্যাতিত শিশু ও তার মা জানায়, শনিবার বিকেলে গৈলা বাজারের অলি টেলিকম থেকে একটি মুঠোফোন ফোন চুরির অভিযোগে স্থানীয় তাওহীদ খানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক শিশুটিকে মারধর করে। পরে তার মাথার চুল কেটে দেয় তারা।
শিশুর মা সানু বেগম বলেন, অলি টেলকমের মালিক অলি বেপারী তাদের বাড়ি এসে সজীবকে বাজারে ডেকে নিয়ে যায়। বিকেলে ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে জানায় মোবাইল চুরির অপবাদে তাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
অলি টেলিকমের মালিক অলি বেপারী বলেন, আমি দোকানে না থাকা অবস্থায় সজীব আমার দোকান থেকে বিকাশ ও নগদ এজেন্টের দুটি সিম ভরা মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে সজীবকে তার বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে চুরির কথা স্বীকার করে। এক পর্যায়ে চুরি যাওয়া ফোনটি সজীব ফেরত দেয়। তার মধ্যে সিম না থাকায় তাকে সিম দুটি ফেরত দিতে বললে সে জানায় সিম ফেলে দিয়েছে। কোথায় ফেলেছে তা দেখানোর জন্য তাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনলে সজীব কাঁচা বাজারের আলুর ময়লা দেখিয়ে সেখানে খুঁজে সিম দুটি উদ্ধার করেন। পরে বাজারে কে বা কারা তার চুল কেটে দেয়।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশান্ত কর্মকার বলেন, একটি শিশুর চুল কেটে দেয়ার কথা শুনেছেন। তবে কে বা কারা ওই শিশুটির চুল কেটেছে তা তিনি জানেন না।
গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু বলেন, লোক মুখে ঘটনা শুনে গৈলা বাজারে গিয়ে একটি শিশুকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয়ার কথা জানতে পারেন। অমানবিক এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার