লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতদের লাশ ফেরতের দাবিতে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের পরিবার বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট বিজিবি চেকপোস্ট এর পাশে অবস্থান নেয়। এর আগে বেলা ৪টা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট অবরোধ করা হয়।
নিহতদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা চেকপোস্টে অবস্থান নিয়ে লাশ ফেরত চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এ সময় জিরো পয়েন্ট সড়কে পণ্যবাহী ভারত-বাংলাদেশের প্রায় ৩৫- ৪০টি ট্রাক আটকে থাকে। পরে দুই দফায় পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজন বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছিল। খবর পেয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর ফাঁড়ি পুলিশ গিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমিসহ অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনি।’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার বেলাল হোসেন বলেন, ‘লাশ ফেরতের জন্য নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট কিছু সময় অবরোধ করেছিল। গুলিতে দুইজন বাংলাদেশি নিহতের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) রংপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের সাথে মোবাইল ফোনো যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল