কুড়িগ্রামের উজানের দিকে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমায় সামান্য উন্নতি হলেও ভাটি এলাকা সদর উপজেলাসহ চিলমারী, উলিপুর,রৌমারী, রাজিবপুর ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে,ধরলার পানি কিছুটা কমে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলাসহ চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার প্রায় ২ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন। ভেঙ্গে পড়েছে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যাতায়াতের দুর্ভোগে বেড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের। হাতে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি মানুষজন। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে রোপা আমন, সবজি খেত ও বীজতলা।
উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বন্যার্তদের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে চাল বরাদ্দ পেয়েছি এবং তা শুক্রবার বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, চলতি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৮শ হেক্টর জমির রোপা আমন, ২শ ৮৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও ১১৫ হেক্টর জমির বীজতলা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার