আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং হাতিয়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র ভোট করছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিতরাই। সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ নির্বাচন চান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
তবে কোথাও নেই আচরণ-বিধি মানার বালায় বরং রয়েছে শঙ্কা। একে অপরকে অভিযোগ করতেও ছাড়ছে না প্রার্থীরা। সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা প্রার্থী ও ভোটারদের। বিচ্ছিন্নভাবে আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা স্বীকার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রশাসনের।
এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরভাটা ইউপি মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গত দুই দিনে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ ছিল আওয়ামী লীগের। তবে তা হয়ে ওঠেনি, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৬টি ইউপি নির্বাচনের প্রতিটিতেই রয়েছে দলের মনোনীত নৌকা প্রতীকের বাহিরে আরও একাধিক প্রার্থী।
তবে আচরণ-বিধির বালায় ছিল না কোথাও। নিয়ম না থাকলেও দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, মাপের চেয়ে বড় ব্যানার, পেস্টুন; রয়েছে রঙিন ব্যানারও। চলছে মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহরের শোডাউন, প্রচার গাড়িতে লাগানো হয়েছে একের অধিক মাইক, ব্যবহার হচ্ছে বিশাল আকৃতির সাউন্ড বক্স। গণজমায়াতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, উপেক্ষিত মাস্ক। এরইমধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণ-বিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচন বানচালের অভিযোগও করছেন প্রার্থীরা। তবুও নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা।
একই দলের একাধিক প্রার্থী, তাই হানাহানির শঙ্কাও কম নয় ভোটারদের। তবে নিজের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায় তারা। এর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের ভূমিকাই এখন দেখার বিষয়।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিমলেন্দু কিশোর পাল আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা স্বীকার করে, বলেন, সকল শঙ্কা উতরিয়ে নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ভোট নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য র্যাব, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। একই বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল হোসেন।
নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকলেও অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে নির্বাচনী প্রচারণায়। শত শঙ্কা থাকলেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা ভোটার ও প্রার্থীদের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন