বড়শিতে সারা দিনে একটি মাত্র মাছ পেয়েছেন ইউনুস আলী (৫৫)। ধরা পড়া কাতল মাছটির ওজন ছিল আট কেজি। আর এই মাছটিই দিন শেষে ওজনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি। আর এ কারণে ইউনুস আলী পেয়েছেন দুই লাখ টাকা পুরস্কার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইউনুস আলী এ পুরস্কার লাভ করেন। শুক্রবার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার দিরেশ দিঘিতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শৌখিন মৎস্য শিকারি ইউনুস হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আমতলা গ্রামের বাসিন্দা।
২২ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। প্রথম পুরস্কার হিসেবে তাকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালীকচ্ছ বন্ধু কল্যাণ মৎস্য প্রকল্প নামের একটি সংগঠন দিরেশ দিঘিতে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে ৩১ জন মৎস্যশিকারী অংশ নেন। অন্য প্রতিযোগিদের মতো ইউনুসও সকাল ৬টায় দিঘিতে বড়শি ফেলেন। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় তার বড়শিতে প্রথম মাছটি ধরা পড়ে। ওই কাতল মাছটির ওজন আট কেজি। এরপর আর সারাদিন তিনি কোনো মাছ ধরতে পারেননি। পরে ইউনুছই সবচেয়ে বড় মাছ শিকারের জন্য প্রথম স্থান অর্জন করেন। পুরস্কার হিসেবে তিনি পান দুই লাখ টাকা।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডার জামাল হোসেন পাঁচ কেজি ৩৫০ গ্রাম ও তিন কেজি ৮৩০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে দ্বিতীয় ও চতুর্থ হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কালীসীমা এলাকার হামদু মিয়া চার কেজি ৪৯৫ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের ফজল মিয়া তিন কেজি ৪৬৫ গ্রাম ওজনের কাতল শিকার করে ষষ্ঠ হয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। একই গ্রামের মাসুম মিয়া তিন কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে সপ্তম হয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার টাকা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল