দীর্ঘ ৮ বছর আত্মগোপনে থাকার পর মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে আইমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে সোমবার দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে প্রতারণা মামলায় দুইবছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আইমুদ্দিনকে (৬৫) মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থেকে আটক করেছে ঘোড়াঘাট পুলিশ। আইমুদ্দিন (৬৫) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রূপসী পাড়া (ভেকসি) গ্রামের মৃত কিসমতুল্লাহর ছেলে।

ঘোড়াঘাট থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রতিবেশী বন্ধু মোজাহার আলী প্রধান ওরফে মোজাকে জমি বিক্রির প্রস্তাব দেয় আইমুদ্দিন। পরবর্তীতে মোজাহার আলীর কাছ থেকে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা গ্রহন করে আইমুদ্দিন। জমি রেজিষ্ট্রি করতে গিয়ে ৪২ শতকের স্থলে ৩৬ শতক জমি দলিলে লেখায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ফলে সেদিন জমি রেজিস্ট্রি না করে উভয় পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে যায়। পরবর্তীতে আইমুদ্দিন গোপনে বিক্রিত ৪২ শতক জমি তার ছেলে-মেয়ের নামে লিখে দিয়ে গত ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ আত্মগোপন করেন। 

এ মামলায় আসামিপক্ষ জামিনে থাকা অবস্থায় আইমুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় একটি মামলা রুজু করে। প্রতারণা মামলায় আইমুদ্দিনের অনুপস্থিতিতে আদালত তাকে ২ বছরের সাজা প্রদান করে। অপরদিকে বাদী আব্দুল আজিজের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে মোজাহার আলী গংরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানে আইমুদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের সহায়তা নেয়। 

ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে রবিবার দিবাগত রাত ২টায় একই লৌহজং উপজেলার নয়াগাঁও গ্রাম থেকে তাকে আটক করে ঘোড়াঘাট থানায় নিয়ে আসে। 

ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু হাসান কবির জানান, সোমবার প্রতারণা মামলায় পুলিশ ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আইনুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ৪২ শতক জমি বিক্রির কথা বলে নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে কৌশলে জমি তার ছেলে-মেয়ের নামে লিখে দিয়ে নিজেই আত্মগোপনে গেছেন বলে স্বীকারোক্তি দেয়। 

তিনি আরও জানান, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চরহাট্টা গ্রামের আজাহার আলীর মেয়েকে বিয়ে করার পর বাকুটিয়ার চরে বসবাস শুরু করে। সেখানে তার একটি সন্তান রয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ