ধামরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী সহিংসতা বাড়ছে। প্রতিদিনই ঘটছে হামলা ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা। এতে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ সোমবার ভোরে যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমোর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে নৌকার সক্রিয় কর্মী সিহান মারা গেছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আলমগীর হোসেন নামে নৌকার আরেক কর্মী। গতকাল রবিবার রাতে ওই গ্রামের বংশী নদীর পাড়ে তাদের ওপর হামলা করা হয় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আব্দুল মজিদ ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজুর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা ও পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে কঠোর বিরোধ চলে আসছিল। আমছিমোর গ্রামে নৌকার কর্মী সিদান ও আলমগীর হোসেন রবিবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে যায়।
এসময় কে বা কারা তাদের ওপর হামলা ও ব্যাপক মারধর করে। এতে মারাত্মক জখম হন তারা। পরে তাদের আমছিমোর সেসিপ মড়েল হাই স্কুলের বংশী নদীর পাশে শুকুর মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেন। সোমবার ভোরে সিদান মারা যান আর আলমগীর হোসেন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে তার স্বজনরা জানান। নিহতের মা নুরজাহান বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে তার ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বার বার মূর্ছা যান।
স্থানীয়রা জানান, ধামরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র যে সহিংসতা শুরু হয়েছে তাদের চরম আতঙ্কের বিষয়। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে দাবি করেন তারা। ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি শেখ রাসেল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর