মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রায় সকল ইউনিয়নে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে। সদর উপজেলা হচ্ছে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। কারন এই সদরেই রয়েছে সকল দাপ্তরিক কার্যালয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদরের গড়পাড়া গ্রামে।
গড়পাড়া ইউনিয়নে মন্ত্রীর দেওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেও মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। ফলে এই ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। এছাড়া প্রায় সকল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গড়পাড়া সুভ্র সেন্টারে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন। এসময় দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও প্রচুর নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেদিন তিনি কঠোর ভাষায় বলেছিলেন- যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন বা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তারা দলের কেও না। তারা আওয়ামী লীগের কেও না। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। মন্ত্রীর কথা অমান্য করে পদপদবী থাকার পড়েও অনেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
জাগীর ইউনিয়নে ৩ জন, দীঘি ইউনিয়নে ৬ জন, ভারারিয়ায় ১২ জনসহ ১০ ইউনিয়নে মোট ৪৮ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এছাড়া সংরক্ষিত পদে ১০৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৫৮ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাহিদ হোসেন জানান গড়পাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাত্র ১ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তাছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিন থেকে ১২ জন পর্যন্ত প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ছিল মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের দিন। বিধিমোতাবেক না হওয়ায় ৩ জন চেয়ারম্যান, ৮ জন সাধারণ সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। বাতিল প্রার্থীরা হলেন নবগ্রাম ইউনিয়নের মো. রাকিব হোসেন ফরহাদ, দীঘি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম ভারারিয়া ইউনিয়নের এ কে এম আনিস অনি। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ১১ নভেম্বর, প্রতীক বরাদ্ধ হবে ১২ নভেম্বর এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। ১০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ১১ জন আর পুরুষ ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৯ জন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকার বলেন, বেশির ভাগ ইউনিয়নেই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তবে পুটাইল, দীঘি ও ভারারিয়া ইউনিয়নের প্রার্থী ছাড়া অন্য ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীরা খুব গুরুত্ব বহন করেন না। নবগ্রাম ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোন ইউনিয়নে বিএনপির কোন গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। এ ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত