কুমিল্লা সেনানিবাসে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। রবিবার বিকালে কুমিল্লা সেনানিবাসের এম.আর চৌধুরী প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন। অনুষ্ঠানে এক হাজার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবিএম তাজুল ইসলাম এমপি, আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি, আঞ্জুম সুলতানা সীমা এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, নাছিমুল আলম চৌধুরী এমপি, নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপি, এরোমা দত্ত এমপি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মো. ওমর ফারুক, বিভিন্ন সামরিক-অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে অতিথিদের অংশগ্রহণে কেক কাটা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণের হাতে সম্মাননা ও উপহার তুলে দেন সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন।
অনুষ্ঠানে ১ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারবৃন্দ ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন বলেন, দেশের উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কঠোর আত্মত্যাগ, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহয়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডসহ জাতি সংর্ঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম