তৃতীয় ধাপে ভাঙ্গা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গিয়াসউদ্দিন মিয়া (৬৪)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. পলাশ (৩৭)।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. পলাশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন মিয়ার বড় ভাই মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। চাচা ও ভাতিজা দু’জনই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি আলগী ইউনিয়নের প্রধান আলোচনার বিষয়।
চাচা ও ভাতিজা উভয়ের বাড়ি ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের নগরমানিকদী গ্রামে। নগরমানিকদী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার বলেন, দুজনই আমাদের গ্রামের সন্তান। তারা আপন চাচা ও ভাতিজা। গ্রামের দুজন প্রার্থী হওয়ায় আমরা সাধারণ ভোটাররা বিপাকে পড়েছি। দুজন কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি বেশি আশাবাদী নই, আবার বেশি নিরাশ নই। বেশি আশাবাদী হলে ফলাফল বিপর্যয় হয়। আওয়ামী লীগ থেকে ৪ জন মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। বাকী ৩ জন আমার সাথে আছে। আমার ভাতিজা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাননি। তার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. পলাশ বলেন, আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর