মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নে রবিবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নহাটা ও খলিশাখালী গ্রামে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা, দোকান ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী মিয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনের শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করে আসছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়েবুর রহমান তোরাপ আলী। বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া মার্কায় বিজয়ী হওয়ার পরপরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নৌকায় ভোট দেয়ার অভিযোগে নানা সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা নহাটার জয়রামপুরে চাঁদ আলী খান নামে একজনের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। পরে গ্রামবাসী তাদের প্রতিহত করে।
এ ছাড়া নৌকার পক্ষে কাজ করায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক ফরিদ ও নিশান পানিঘাটা গ্রামে ফরহাদ মেম্বারকে মারধর করেছে। নহাটা গ্রামে ইছাক, লাল্টু, লাড্ডু, কাঞ্চন, জিল্লু, রিপনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকদের বিভিন্ন প্রকার হুমকী-ধমকী প্রদান করছে। খলিশাখালী উত্তরপাড়ার সাইদ মিয়া, গোরস্থান পাড়ার ধনি, লাবলু, ইকতারের বাড়ি হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। এছাড়া কলাগাছি, বিল্লুপাড়া, দরিশালদা গ্রামে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকা সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। আলী মিয়া জানান, এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সিদ্দিকী লিটন গোপনে নৌকার বিপক্ষে বিজয়ী তৈয়েবুর রহমান তোরাপের কাজ করার পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী এ সহিংসতার মূল হোতা।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির হোসেন জানান, গতকাল নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ