কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী প্রাপ্ত ভোটের দিক থেকে ৪র্থ ও ৫ম স্থানে রয়েছেন। একজন পেয়েছেন ২৫৬ ভোট এবং অপরজন ৮২৬ ভোট। এতে তারা জামানত হারাতে যাচ্ছেন।
গতকাল রবিবার তৃতীয় ধাপে এ উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে নৌকার প্রার্থী এবং ৬টিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এ উপজেলার মালিগাঁও ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৮২৬ ভোট। এখানে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ (ঘোড়া)। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৭ ভোট।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে এখানে প্রাপ্ত ভোটে ৫ম হয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম। এ ইউনিয়নে মোট প্রদত্ত ভোট ১১ হাজার ৪২৪। তাই প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলামের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।
অপরদিকে, একই উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নাসির আহমেদ পেয়েছেন ২৫৬ ভোট। এখানে বিজয়ী (আনারস) দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মনির হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৯০২ ভোট। এ ইউনিয়নে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ৪র্থ স্থানে রয়েছেন। এ ইউনিয়নে মোট প্রদত্ত ভোট ৮৪২৬। তাই প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুন নাহার বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুসারে কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। কাঙ্খিত সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় এ উপজেলার পদুয়া ও মালিগাঁও ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন