তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় অন্তত ১০টি বসতঘর ভাঙচুর ও ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকেলে স্থানীয় উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের কুচা মারা এলাকায় বিজয়ী মেম্বার জাহাঙ্গীর বকশী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মফিজ দেওয়ানের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুটের অভিযোগ করে ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার। ঘটনার সময় স্থানীয় বিভিন্ন সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। পরে হাজিমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও রায়পুর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, দু’পক্ষের অবস্থানে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লুটপাট ও আহত হওয়ার খবর জানা নেই বলে জানান ওসি।
এদিকে জেলার রামগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান সজিবের নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় রামগঞ্জের ইছাপুরের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ঘটনাস্থল এলাকার ভোট কেন্দ্র) মাঠে তার নামাজে জানাজায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটকও করতে পারেনি বলে জানা যায়।
এদিকে শোকে কাতর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার দাবি করেন। নিহতের মা শামছুন্নাহার ও চাচা দুলালসহ এলাকাবাসী এ হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এর আগে জেলা ছাত্রলীগ এক প্রতিবাদ সভায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন।
রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। কাউকে আটক করতে পারেনি বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম