রাঙামাটিতে বৌদ্ধ আর্য্যপুরুষ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১০৩তম জন্মদিন উৎসব পালিত হয়েছে। শনিবার ভোরে এ উপলক্ষে রাঙামাটি রাজবন বিহারে ভিক্ষু সংঘের উদ্যোগে দিনব্যাপী ধর্মীয় নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে হাজারো ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা দলে দলে যোগ দান করেন।
সকাল ৬টায় সূর্যের আলো ফোটার আগেই মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে কেক কাটেন বনভান্তের শিষ্যসংঘের প্রধান ও রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। পরে রাজবন বিহারে সংরক্ষিত বনভান্তের দেহধাতুতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভিক্ষুসংঘসহ হাজারো পূণ্যার্থী। পূণ্যার্থীদের ভক্তির শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বনভান্তের দেহধাতু। ফুল আর বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো রাজবন বিহার।
এ উপলক্ষে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, পিন্ড দান, পুষ্পাঞ্জলি উৎসর্গ, বিশ্বশান্তি প্যাগোডার উদ্দেশ্যে দানসহ নানাবিধ দান করা হয়। একই সাথে বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পূর্ণ্যাণীদের উদ্দেশ্যে ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, কাটাছড়ি রাজবন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির প্রমূখ।
এসময় বালুখালী ইউপি সাবেক চেয়য়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমার সঞ্চালনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, মঞ্চে উপবিষ্ট পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ সহ পূণ্যার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসা।
উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙামাটি সদরের ১১৫ নং মগবান মৌজার মোরঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বৌদ্ধ আর্য্যপুরুষ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে। ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন তিনি। তখন থেকে বনভান্তের বনভান্তের দেহধাতু ও তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র রাজবন বিহারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল