শনিবার দুপুরে আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে আমিন আমিন ধ্বনিতে বগুড়ায় তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হয়েছে। এদিন বেলা সোয়া ১২টার পর আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মজসিদের শুরা সদস্য হযরত মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। আখেরি মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে আত্মশুদ্ধি, মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী মহামারী নোভেল করোনা থেকে ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।
বগুড়া শহরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে ঝোপগাড়ি এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর মাওলানা শাহাদত হোসেনের আমবয়ান এর মধ্য শুরু হয় তিন দিনব্যাপি ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমার সাথে মিল রেখে আঞ্চলিক এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে বগুড়া শহর ও আশপাশের উপজেলা থেকে দলে দলে মানুষ আসতে থাকেন আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়ার জন্য। আখেরি মোনাজাতকালে ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বাড়ির ছাদে, ফাকা জায়গাতে ও বিভিন্ন স্থানে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন হাজারো মা-বোন।
এদিন বেলা সোয়া ১২টার পর আখেরি মোনাজাত শুরু করেন কাকরাইল মজসিদের শুরা সদস্য হযরত মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। মোনাজাতে এসময় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন। প্রায় ১০ মিনিট দীর্ঘ মোনাজাতে মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি, প্রয়াত মুসলিমদের আত্মার মাগফিরাত কামনা, প্রতিটি মুসলিমের আত্মশুদ্ধি ও হেদায়েত কামনা, নোভেল করোনা ভাইরাস থেকে সারাবিশ্বের মানুষের মুক্তি লাভের জন্য দোয়া করা হয়। এসময় ইজতেমা ময়দানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আগত মুসল্লীদের আমিন, আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে সমগ্র এলাকা। মোনাজাতকালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন বাস ট্রাক, সিএনজি, রিক্সা ভ্যানের সকলে দাঁড়িয়ে যায় এবং এর যাত্রী সাধারণ নিজ নিজ আসন থেকে মোনাজাতে অংশ নেন।
ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহ আলম বলেন, আখেরি মোনাজাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়েছে করোনা ও ওমিক্রনের জন্য গতবারের তুলনায় মুসল্লি কম এসেছে। নিরপত্তার বিষয়ে বগুড়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে রাত-দিন ভাগ করে পালাক্রমে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল