খুলনার কয়রায় ট্রিপল হত্যা মামলায় সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- কয়রা বামিয়া গ্রামে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল্লাহ (৩৫) ও তার ভাই শামীম (৩৮), আব্দুল হক (৬০) ও তার স্ত্রী তাসলিমা, মোস্তফা (৪০), মো. আল আমিন (৩৫) ও আব্দুর রশিদ (২৬)। ঘটনার পর থেকে আব্দুর রশিদ পলাতক ছিলেন।
বামিয়া গ্রামের আবু বকর গাজী জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ বাড়িতে এসে তাকেসহ তার দুই ছেলে সাইফুল্লাহ ও শামীমকে আমাদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আব্দুল হক ও তার স্ত্রী, মোস্তফা দোকানদার, আল আমিন ও আসলামকে দেখতে পান। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের গাড়ীতে তাকে ও আসলামকে নিজ বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়। জানা যায়, এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের বিত্তিতে যশোর থেকে আব্দুর রশিদকে আটক করা হয়।
জেলা ডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, কয়রা মার্ডার ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খুলনা সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ হেফাজতে নিয়ে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন বলার মতো ক্লু উদঘাটন হয়নি।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনিকে (১৩) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় নিহত হাবিবুল্লাহ গাজীর মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে কয়রা থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। নিহতের পরিবারের সাথে পূর্বশত্রুতা থাকায় ঘটনার দিন চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে ওই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তথ্য উদঘাটন হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএম