থার্টি ফার্স্ট নাইটে উচ্চ শব্দে গান-বাজনার প্রতিবাদ করায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরিফ হোসেন (৩৮) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আরিফ হোসেন সুমিরদিয়া গ্রামের ক্লাবপাড়ার মৃত আমানত আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
শনিবার (০৮ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার মহিলা কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আরিফকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ক্ষতস্থানগুলোতে ৫০-৬০টি সেলাই প্রদান করেন।
আহত আরিফ বলেন, শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় শহরের সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে পৌঁছালে ছোটনসহ কয়েকজন থার্টি ফার্স্টের রাতের ঘটনার জেরে আমার পথরোধ করে। কিছু বোঝার আগেই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন জানান, আহত আরিফের মাথা ও শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখমের চিহ্ন আছে। ক্ষতস্থানগুলোতে ৫০-৬০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিংবা রাজশাহী রেফার্ড করা হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে পৌর এলাকার কেদারগঞ্জপাড়ার আকবার আলীর ছেলে ছোটনসহ কয়েকজন সুমিরদিয়া স্কুলপাড়া জামে মসজিদের পাশে পিকনিকের আয়োজন করে। সেখানে উচ্চ শব্দে সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজায় তারা। পাশেই মসজিদ হওয়ায় আহত আরিফ তাদেরকে এভাবে গান না বাজানোর অনুরোধ করে। এসময় তারা আরিফকে গালিগালাজ শুরু করে। এতে তাদের মাঝে তর্কাতর্কি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গান বন্ধ করে দেয়। পরদিন সদর থানায় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করে দেয় পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। সেটি গত ১ জানুয়ারি মীমাংসাও হয়েছিল। শনিবার রাতে আরিফ হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জেনেছি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে সন্দেহভাজনদের ধরতে পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযান চালাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত