কুড়িগ্রামে শীতের কারণে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শয্যা সংকটে ওয়ার্ডের মেঝেতেও বিছানা করে চিকিৎসা নিতে দেখা যায় অনেক রোগীকে। গত কয়েক দিনে জেলার জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
রবিবার হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫২ জনের মত। যাদের ৪০ জনই শিশু। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক নার্স জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আমাদের এখানে অনেক বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি।এখনও এই ওয়ার্ডে ৫০ জনেরও বেশি শিশুসহ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপর এক কর্তব্যরত নার্স লাবনী বেগম জানান, অতিরিক্ত শীতের ঠান্ডার কারনে হাসপাতালে ক্রমেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিদিন।তবে আমাদের চিকিৎসার কোন ত্রুটি নেই। স্যালাইনসহ সবধরনের সাপোর্ট আমরা বাচ্চারাসহ সকলকে দিচ্ছি।
হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আল আমিন মাসুদ বলেন, শীত এলেই কুড়িগ্রামের শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয় বেশি। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এটি এবারেও বেড়েছে। তবে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোটা ভাইরাল নামক ডায়রিয়ার প্রকোপ এটি। এ অবস্থায় শিশুদের বাইরের খাবার না দেয়াই উত্তম। পাশাপাশি শিশুদের যেন কোনভাবেই ঠান্ডা না লাগে সেজন্য শীতের মধ্যে শিশুদের বাইরে বের করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. পুলক কুমার হাসপাতালে শিশুসহ ডায়রিয়া রোগী বাড়ার কথা স্বীকার করে জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ একটু বেড়েছে। এদের মধ্যে শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি।
বিডি প্রতিদিন/এএম