২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৩৭

এক দশকেও অবসান হয়নি আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেসের আসন বৈষম্য

নজরুল মৃধা, রংপুর

এক দশকেও অবসান হয়নি আন্তঃনগর 
ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেসের আসন বৈষম্য

ফাইল ছবি

আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুরু থেকে গোড়ায় গলদ নিয়ে ঢাকা-রংপুর রুটে চলাচল করছে। বৈষম্যের কারণে মোট আসন সংখ্যার ৪ ভাগের এক ভাগ যাত্রীও সরাসরি রংপুর থেকে ঢাকা যেতে পারছে না। ফলে টিকিট সংকটসহ নানা ভোগান্তি মাথায় নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চললেও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না।

রেল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা প্রায় ৭০০। এসি বাথ ১৭টির মধ্যে রংপুরের জন্য বরাদ্দ ১০টি, এসি চেয়ার ১১০টির মধ্যে রংপুরের বরাদ্দ ৩৫টি এবং সাধারণ শোভন প্রায় ৫০০ আসনের বিপরীতে রংপুর থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ১২০টির। দেখা গেছে মোট আসন সংখ্যার অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রংপুরকে। ফলে প্রতিনিয়িত ঢাকার টিকিটের জন্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে রেল স্টেশনে। এই ট্রেনটি রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের রংপুরের মধ্যে চলাচল করে। ট্রেনটি ২০১১ সালে চালু হয়। ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন চলাচল করে না। ২০১১ সালের ২০ মার্চ তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন রংপুর সফরকালে ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে একটি নতুন ট্রেন চালু প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১১ সালের ২১ আগস্ট রংপুর এক্সপ্রেস চালু হয়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রংপুরের দূরত্ব ৪০৫ কিলোমিটার (২৫২ মাইল)। যতায়াতের গড় সময় ১০ ঘণ্টা হলেও অনেক সময় শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কিছুটা দেরিতে চলাচল করে।

রংপুর রেলের এক কর্মকর্তার মতে, আরও দুটি শোভন ও দুটি এসি চেয়ার কোচের বগি বাড়ানো হলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে।

ঢাকায় নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রী সিরাজুল ইসলাম, আবিদ করিম মুন্না, রজজান আলীসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবার ঢাকা যেতে হলে টিকিট না পাওয়ার যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। অধিকাংশ সময় ২ থেকে ৩’শ টাকা বেশি দিয়ে কালোবাজার থেকে টিকিট ক্রয় করতে হয়। রংপুরের মানুষের সুবিধার জন্য এ ট্রেন চালু করা হলেও টিকিটের বরাদ্দে বেলায় বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তারা এই বৈষম্যমূলক আচরণ সমাধানের দাবি জানান।

তারা আরও জানান, রংপুর থেকে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিটিও দীর্ঘ দিন থেকে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। আরেকটি ট্রেন চালু হলে সড়ক পথে যানজটের ভোগান্তি এড়িয়ে অনেকে ট্রেনে যাতায়াতের সুয়োগ পেত।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার সাহা জানান, আসন সংকটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। আরও বগি বাড়ানো যায় কিনা এ বিষয়ে চিন্তা করা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর