ফেনীতে চার তলার ছাদ থেকে পড়ে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান (১০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তার পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষক ফখরুল ইসলামের মারধরেই তার মৃত্যু হয়।
শনিবার দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল্লাহ আল আরিয়ান রাজাপুর ইউনিয়নের সত্যপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার নুরানী শাখায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভর্তি হয়।
লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে চারজনকে দায়ী করে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে। তবে বর্তমানে তারা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। নিহতের স্বজনরা জানান, তারা হত্যা মামলা করেছেন, অপমৃত্যুর নয়।
নিহতের বড় ভাই আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, তার ভাই মাদ্রাসায় যেতে চাইতো না। সে বলতো শিক্ষক তাকে বেশি মারে, তাই যাবে না। শনিবার মা তাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসলে সে বাড়িতে চলে আসে। পরে তার চাচা আবদুর রাজ্জাক ও তার মা তাকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। আধাঘণ্টা পরে চাচাতো ভাইয়ের কাছে জানতে পাই আরিয়ান ছাদ থেকে পড়ে গেছে। পরে অধ্যক্ষ স্যারকে ফোন দিলে তিনি তাদের সদর হাসপাতালে যেতে বলেন। আমরা প্রথমে মাদ্রাসায় যাই, সেখানে গিয়ে দেখেছি তখন সিসি ক্যামেরা ছিল। পরে গিয়ে দেখি সিসি ক্যামেরার তার কাটা। আমরা থানায় গেলে পুলিশ আমাদের মামলা করার জন্য বলে। আমরা বলেছি শিক্ষকদের দোষ না থাকলে মামলা করবো না। তারপরও পুলিশ বলায় আমরা মামলা করেছি।
তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশই তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে স্যার তাকে বেত দিয়ে মারছে। তরপর সে জানালার কাছে গিয়ে কান্না করছে। এসসয় শিক্ষক এসে তাকে মেরে দরজার কাছে ফেলে দিয়েছে। তারপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে কিলঘুষি ও লাথি মারছে। পরে শিক্ষক বেতের জন্য গেলে আরিয়ান দরজা খুলে বের হয়ে যায়। চাচাসহ এলাকার অন্য মুরব্বিদের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, নিহতের মা যে মামলাটি দিয়েছেন, আমরা তাই গ্রহণ করেছি। সে অনুযায়ী তদন্ত হচ্ছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই