কাল বসন্ত। একই সাথে যুক্ত হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তাই কদর বেড়েছে ফুলের। চাহিদা বেশি। ভিড় লেগেছে ফুলের দোকানে। জমে উঠেছে ফুলের বাজার। পার্বত্যাঞ্চলে এবার বসন্ত ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। কারণ দূর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকরাও এবার বসন্ত ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন করছে এ পাহাড়ে।
এবার রঙিন বসন্ত পালন করছে পাহাড়ের মানুষ। উৎসবের আয়োজন না থাকলেও রয়েছে ফুলের চাহিদা। দোকানিরা বলছে, বসন্ত ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস ঘিরে অর্ধ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে ফুল। চাহিদা মিটাতেও খেতে হচ্ছে হিমশিম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল থেকে রাঙামাটির ফুলের দোকান ও নার্সারিতে বেড়েছে নানা বয়সের তরুন-তরুনীদের ভির। ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে প্রছন্দের নানা রঙের ফুল। কেউ নিচ্ছে গাজরা। আবার কেউ নিচ্ছে রক্তিম গোলাপ। এছাড়া প্রছন্দের তালিকায় রজনিগন্ধা, টিউলিপ আর গাদা তো রয়েছেই।
অভিযোগ রয়েছে, বসন্ত এসছে বলেই দাম বেড়েছে ফুলের। ১০ টাকার ফুল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও দোকানিরা দেখাচ্ছে সংকট।
ব্যাপারে রাঙামাটি মায়ের দোয়া নার্সারির মালিক মো. সালাহ উদ্দীন জানান, প্রায় ২ বছর পর জমে উঠেছে ফুলের বাজার। করোনার কারণে এখন আগেরমত ফুলের চাহিদা নেই ক্রেতাদের। তবে এবার গেলো বছরের তুলনায় কিছুটা চাহিদা বেড়েছে। ২ লাখ ২০ হাজার টাকার ফুলন নিয়ে এসেছি বসন্ত ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ঘিরে। এরই মধ্যে অর্ধ লাখ টাকার ফুল বিক্র হয়ে গেছে। বাকিগুলো খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। কারণ ফুলের অগ্রিম বুকিং আছে।
অন্যদিকে, শীতের আড়মোড়া ভেঙ্গে বসন্তকে বরণ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত পাহাড়ও। গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি। নানা রঙের ফুলের মেলা বসেছে পাহাড়-বন-জঙ্গলে। বসন্তের আগমনে করোনা মুক্ত হবে দেশ আবারও স্বাভাবিক হবে সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এমনটা প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
বিডি প্রতিদিন/এএ