বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ক্রমেই বাড়ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক বিরোধ। একের পর এক অব্যাহতি ও অনাস্থা জ্ঞাপনসহ যে যার মতো করে একাধিক গ্রুপ তৈরি করে চলেছেন। এতে করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
গত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে উঠেছে। আর আগামীতে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে এই দ্বন্দ্ব এখন সংঘাতে রূপ নিতে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আহমেদ জেমস মল্লিকের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে স্বাক্ষর করেছেন ৪৬ জন নেতাকর্মী। শনিবার মথরাপুর আমেনা ময়েন সিনিয়র মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শিক্ষক আব্দুল কাদের সরকারের সভাপতিত্বে এক বর্ধিত সভায় তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয়।
তবে এ ব্যাপারে হাসান আহমেদ জেমস্ মল্লিক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন তাদের দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তাই অব্যাহতি প্রাপ্ত নেতারা কারো প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করতে পারেন না।
এ বিষয়ে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজার বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে জেমস মল্লিককে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। কিন্তু এরপরও তিনি অন্যায়ভাবে ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থীভাবে একের পর এক নেতাকর্মীকে অব্যাহতি প্রদানের নাটক করছেন। একারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ করায় নেতাকর্মীরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন।
তবে শুধু মথরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জেমস মল্লিকের ওপরই অনাস্থা জ্ঞাপন নয়, এর আগেও গোপালনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ আলমের ওপর ৭১ জন নেতাকর্মী অনাস্থা জ্ঞাপন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই