ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার আমান উল্যাহপুর এলাকার পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষক আবু আহমেদ বুধবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসলেও সম্পত্তির ভাগাভাগির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তার নিজ সন্তানরাই লাশ দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়ান।
তার স্ত্রী, ৭ ছেলে ও ২ মেয়ে সম্পত্তির জন্য লাশ ঘরে থাকা অবস্থায় হাতাহাতিতেও মেতে ওঠেন। তার সন্তানরা সিদ্ধান্ত নেন প্রয়োজনে লাশ আম্বুলেন্সে রাখা হবে। তারপরও সম্পত্তির হিস্যা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করা হবে না।
একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা ৯৯৯ এ কল করেন। পরে দাগনভূঞা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতভর বৈঠকের পর সকালে আবু আহমেদের দাফন সম্পূর্ণ করা হয়। তার সন্তানরা জানান, তাদের বাবা সম্পত্তির সমবণ্টন না করায়, এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, আবু আহমেদ তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের কিছু না দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়ায় এই বিরোধ সৃষ্টি হয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সাথে রাতভর আলোচনা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলছিল প্রয়োজনে ১ মাস অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রেখে দেওয়া হবে। তারপরও সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দাফন করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি জোর করে একরকম তাদের বাধ্য করেছি লাশ দাফন করতে। দাফনের এক সপ্তাহ পর আমরা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসবো কথা দিয়েছে লিখিতভাবে। এই আশ্বাসে তার সন্তানরা লাশ দাফন করতে রাজী হওয়ায় দুপুরে লাশ দাফন করা হয়েছে।
এলাকার সাবেক কাউন্সিলর জানান, এই ব্যাপার নিয়ে আমি ও বর্তমান কাউন্সিলরও স্যারের সাথে কয়েকবার বসেছি। কিন্তু কোনো সমাধান দিতে পারিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই