বরগুনার তালতলী উপজেলার ১১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শহীদ মিনার। আর ৯৬টিতেই শহীদ মিনার নেই। এই ৯৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন করা হচ্ছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তালতলী শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৭৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩টি দাখিল মাদ্রাসা ও ২টি কলেজে রয়েছে। ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ৬টি ও একটি কলেজে শহীদ মিনার রয়েছে। এ উপজেলার বাকি ৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদ প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেভি মনসাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পচাকোড়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কড়াইবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। পচাকোড়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করি।
তালতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, উপজেলায় যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আগামী এক বছরের মধ্যে স্থানীয় উদ্যোগে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন, ভাষা শহীদদের পরিচয় জানতে ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা দরকার। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেই সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর