নেত্রকোনায় অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে প্রথম প্রহর উদযাপন হয়েছে। উপস্থাপকের বারবার নাম ভুল বলার জন্য ফুল দিতে আসা সকলের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, যে কারণে কোন নিয়মনীতি না মেনেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কে কার আগে ফুল দেবে এ নিয়ে চলে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা। এছাড়াও বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি ছিলো চরম উপেক্ষিত।
তারপরও প্রথম প্রহরের আলো জ্বালিয়ে দিবসের সূচনা করেছেন নেত্রকোনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম। পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে একে একে সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান শেফালি, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দপ্তর এবং রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এদিকে উপস্থাপক কাকলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক চিন্ময় তালুকদারে উপস্থাপনাকালে ভুল নাম বলার কারণে ফুল দিতে আসা সকলের মাঝে হৈচৈ লেগে যায়। কে কার আগে ফুল দিবে এই প্রতিযোগিতায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে শহীদ মিনার হতে ১০০ গজ দূরের জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা ফুল দিতে যাওয়ার সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে মারমারি হয়। এতে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু মাথায় আঘাত পান।
এ সময় পৌর ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান বাপ্পীও আহত হয়। প্রাথমিকভাবে তারা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় বলে জানান মশিউর রহমান বাপ্পী। এসময় তিনি আরো নিশ্চিত করেন মনিরুজ্জামান দুদুর মাথায় ১১ টি সেলাই লেগেছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, বিএনপি অফিসেই নিজেরা নিজেরা চেয়ার দিয়ে মারামারি করেছে। এতে একজনের অবস্থা গুরুতর।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল