বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, বিজিবি-বিএসএফ ফ্লাগ মিটিং থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা নিয়ে উভয়পক্ষ আলোচনা করি। এ ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাবের কোনো কমতি নাই। আমরা উভয় পক্ষই চাই সীমান্ত হত্যা জিরোতে নামিয়ে আনতে। আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি। একে অপরকে বুঝছি। আশা করি এ বিষয়ে অবশ্যই উন্নতি হবে।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্টের বিজিবির আইসিপি ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসএফ’র বাধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ প্রসঙ্গে বিজিবি প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিক কিছু নিয়ম-কানুন আছে। এ নিয়ম কানুনগুলো উভয় দেশকেই মানতে হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই আমরা ভবন নির্মাণের কাজটি করব। এ ব্যাপারে আমাদের উচ্চ পর্যায়ে পত্রালাপ চলছে। আমরা কাজ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যাটির সমাধান করা হবে।
আখাউড়া সীমান্ত পরিদর্শন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশের সমস্ত সেক্টর, রিজিওন, ব্যাটালিয়ন, ক্যাম্প, বিওপি যেগুলো আছে সেগুলো আমি ভিজিট করছি। তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানছি। আখাউড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আইসিপি। তাদের সুযোগসুবিধা কি কি আছে, কোনো অসুবিধা আছে কিনা সেগুলো জানব এবং দূর করার চেষ্টা করব। কাস্টম এবং ইমিগ্রেশন সহজ করার জন্য চেষ্টা করব।
এর আগে, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ সড়ক পথে দুপুর সোয়া ১টায় আখাউড়া চেকপোস্টে এসে পৌঁছান। এসময় তিনি আইসিপি ক্যাম্প, ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন। পরে তিনি চেকপোস্টের শূন্য রেখায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবি প্রধানকে গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। বিজিবি মহাপরিচালকও বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি উপহার তুলে দেন। এসময় বিজিবির সেক্টর, রিজিওন ও ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই